সিবিএল রিপোর্ট :
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এক দুপুরে হঠাৎ ফোনকল। নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বললেন, “আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ এসেছে। আসবা নাকি?” সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল জীবনে থিতু থাকা আশিকের মনে কোনো দ্বিধা ছিল না। তিনি জানতেন, স্ত্রী নন্দিনীও এই সিদ্ধান্তে সমর্থন করবেন। ৫৯ সেকেন্ডের একটি হোয়াটসঅ্যাপ কলে তারা সিঙ্গাপুর ত্যাগ করে দেশের পথে রওনা হন। আশিক দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের, বন্ধুদের ভাষায়—বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে।
দেশে ফিরে প্রথম এক মাস ছিল চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও আশিকের সময় মিলছিল না। প্রায় আড়াইশো সিইও ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে তিনি তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল দেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান করা।
“আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশাও অনেক বেশি,” বললেন আশিক। জাতীয় ক্রিকেট দলের মতোই তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়। সবকিছু পারফেক্ট না হলে, কিছু ভুল হলে সমর্থকদের সমালোচনা স্বাভাবিক। তবে, এই সমালোচনার মধ্যেই তিনি দেখেন দেশের জন্য কাজ করার শক্তি। নিজের ভুল স্বীকার করে তা শুধরানোর মানসিকতায় তিনি বিশ্বাসী।
“দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বুঝাই—এটাই তো আসলে বাক স্বাধীনতা। আমরা ভুল করব, কিন্তু তারপর শুধরাবো। আমাদের দেশ আস্তে আস্তে সঠিক রাস্তায় হাঁটবে।”
সুত্র: আশিক চৌধুরীর ফেইসবুক পোস্ট।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।