রামু উপজেলা প্রশাসনের স্মরণ সভায়: জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ
খালেদ শহীদ, রামু: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে রামু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার, ২৮ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় রামু উপজেলা হিমছড়ি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন- রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম।
এতে বক্তব্য রাখেন- রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ, রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু, রামু উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, সেক্রেটারি আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমদ, মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ রফিক, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আশরাফ হোসেন ফিরোজ, ছৈয়দ মোস্তাফা মনোয়ার তাজিম, রামু উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবছার কামাল সিকদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মো. মঈনুর রশিদ, যায়েদ বিন আমান ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রামু উপজেলা সভাপতি মোকতার আহমদ প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন- ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সহস্য শহীদের আত্মত্যাগ ও হাজার হাজার ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করে ১৬ বছরের বন্দীত্ব শৃঙ্খল থেকে এদেশের জনগণকে মুক্ত করেছে। মানুষ এখন স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সফলতা ভোগ করছে। এরপরও ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো দেশ ও অর্ন্তবর্তী সরকারের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল রাজনৈতিক দলগুলো এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এদেশের নাগরিকরা যেন আবারো কোন বৈষয়মের শিকার না হয়।
সভায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।