শিরোনাম
রামুতে নির্মাণ সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘বাড়ি নকশা’ উদ্বোধন রামুতে উৎসবমুখর আনন্দে অনুষ্ঠিত বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস পার্টি বাপা রামু উপজেলার নতুন কমিটি গঠিত: মোহাম্মদ আলম সভাপতি, সায়েদ জুয়েল সাধারণ সম্পাদক, জাবেদুল আনোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত রামুর কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা ও এসএইচডি মডেল হাই স্কুলে: শিক্ষার্থীদের সততা ও ন্যায়চর্চা শেখাতে সততা স্টোর উদ্বোধন আইএলও-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে জলবায়ু-স্মার্ট কার্যক্রম, লিঙ্গ-অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও নারী ও যুবদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সুযোগের উপর গুরুত্বারোপ রাঙামাটির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অনুষ্ঠিত রামু প্রেসক্লাবের আনন্দ ভ্রমণ কক্সবাজার – চট্টগ্রাম মহাসড়কে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত: সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মহাসড়ক ৬ লেনের দাবি টুয়াকের নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি রামুতে জ্ঞানপাঠক মোহাম্মদ মুজিবুল হক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের ভূমিকা আন্তর্জাতিক মঞ্চে—বালিতে অংশ নিল PHALS প্রতিনিধি দল

উইমেন ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড”: পর্যটনে অবদান রাখা ৭ নারীকে সম্মাননা

সিবিএল নিউজ: রামু উপজেলা পরিষদ হলরুমে অদ্য ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং অনুষ্ঠিত হলো “উইমেন ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড, রামু-২০২৫”, যেখানে পর্যটন খাতে বিশেষ অবদান রাখা রামুর ৭ জন নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি আইএলও–আইজেক প্রকল্প ও এনরুট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় কক্সবাজার উইমেন চেম্বার অব কমার্স আয়োজন করেন।
সম্মাননা প্রাপ্ত ৭ নারী চ্যাম্পিয়ন হলেন – আফরিন সুলতানা সুমি, ফারিয়া আহমেদ, রেহেনা পারভিন, রেখা বড়ুয়া, রওনক আরা খানম, সামিনা আফরিন এবং সেনুআরা আক্তার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, “কক্সবাজারের পর্যটন শুধু সমুদ্রসৈকত আর হোটেল নয়, এটি মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। পর্যটনের সুবিধা যেন তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছায়, সে জন্য নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন বলেন, “খাদ্য, হস্তশিল্প ও সেবাখাতে নারীরা অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন। তারা পরিবার সামলিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন এবং কক্সবাজারের পর্যটনকে আরও বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলছেন।”
কক্সবাজার উইমেন চেম্বার অব কমার্স-এর চেয়ারম্যান জাহানারা ইসলাম বলেন, “এই নারীরা আমাদের গর্ব। তারা প্রমাণ করেছেন যে সামান্য সুযোগ ও সহায়তা পেলে নারীরা পর্যটন খাতে সফল উদ্যোক্তা হয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।”
আইএলও-এর কনসালট্যান্ট মোহাঃ মুস্তাফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ নারীদের দৃশ্যমানতা বাড়ায় এবং তাদের কাজকে স্বীকৃতি দেয়। পর্যটন খাতে নারীর নেতৃত্ব শুধু কর্মসংস্থানই তৈরি করছে না, বরং টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করছে। আইএলও সবসময় এই ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশে থাকবে।”
কক্সবাজার জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে রামু উপজেলার নারীরা দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। কেউ পরিচালনা করছেন ইকো-রিসোর্ট, কেউ হস্তশিল্প ও খাদ্যভিত্তিক ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, আবার কেউ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্যুর সার্ভিস, ওয়েলনেস সেন্টার কিংবা হসপিটালিটি খাতে। নারীদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া, সামনে আনা এবং অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার রোল মডেল তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে আইএলও–আইজেক প্রকল্প ও এনরুট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় কক্সবাজার উইমেন চেম্বার অব কমার্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা নিজেদের সংগ্রাম ও সফলতার গল্প শেয়ার করেন, যা উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করে। অনুষ্ঠানটি নারী নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করার এক তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করে।






সর্বশেষ

Developed by e2soft Technology