শিরোনাম
কক্সবাজারে পৌরসভা ও ব্র্যাকের উদ্যোগে বিশ্ব শহর দিবস উদযাপন ১৮৫ দেশ ভিসা ছাড়াই ঘুরে বেড়ানো যায় যে পাঁচ দেশের পাসপোর্টে 🇱🇰 শ্রীলংকা বনাম 🇧🇩 বাংলাদেশ ট্যুরিজম: কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে? ইনানী নয়, পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে নুনিয়া ছড়া থেকে ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন ডেভেলপমেন্ট খসড়া পরিকল্পনার উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত রামুতে ‘জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণে বক্তারা: নির্যাতন-বৈষম্য রোধে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সামাজিক সচেতনতা ক্যারিয়ার কার্নিভাল ২০২৫: কর্মসংস্থানের পথে কক্সবাজারের তরুণদের নতুন যাত্রা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাস সার্ভিস সুবিধা দিবে রামু স‌মি‌তি সানড্রি ক্রীড়া সংসদের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন সোনাদিয়া দ্বীপ — কক্সবাজারের খুব কাছে, অথচ অন্য এক পৃথিবী

ন্যায্য চাকরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের অঙ্গীকার

পর্যটন খাতকে টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ১০ই সেপ্টেম্বর, রোজ বুধবার কক্সবাজারের একটি তারকা মানের হোটেলের হলরুমে “পর্যটনে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আইএলও-আইএসইসি প্রকল্পের আওতায় এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মশালায় কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর  এর  সদস্যরা অংশ নেন।

কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে আইএসইসি প্রকল্পের টিম লিডার মো. ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া বলেন, “পর্যটন মানে কেবল ভ্রমণকারীদের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেওয়া নয়, যারা এই অভিজ্ঞতা তৈরি করে তাদের মর্যাদা, ন্যায্যতা এবং সুযোগ নিশ্চিত করাও জরুরি।”

আলোচনায় টোয়াক সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দেন সব কর্মচারীর জন্য লিখিত চুক্তি প্রদান, ন্যায্য কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, নিয়মিত ছুটি, ওভারটাইম সুবিধা ও বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করার। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা চালু এবং নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। নারী ট্যুর গাইড তৈরি ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির ওপরও ঐকমত্য গড়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে আইএলও’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম নাভিদ আকবর বলেন, “টোয়াককে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে এবং ব্যবসায় আরও সচেতন হতে হবে।” তিনি আরও জানান, শেয়ারট্রিপ ও গোযায়ানসহ বিভিন্ন ভ্রমণ প্ল্যাটফর্ম স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শোভন কর্মপরিবেশ, অন্তর্ভুক্তি ও পেশাগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি সঞ্চারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার শুধু দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, বরং টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক পর্যটনের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।




Developed by e2soft Technology