বাংলাদেশের কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত। তবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে কক্সবাজারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণে নতুন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ২০২৫ সালে কক্সবাজার পর্যটনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ও পরামর্শ দেওয়া হলো:
যথাযথ উদ্যোগ:
পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন:
আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট, হোটেল এবং অন্যান্য আবাসিক সুবিধার সম্প্রসারণ।
বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণ
আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার:
পর্যটকদের জন্য নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়ন।
প্রচার ও বিপণন:
আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় কক্সবাজারকে উপস্থাপন।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন ওয়েবসাইটে কক্সবাজারের প্রচারণা।
জনপ্রিয় ব্লগার ও ভ্লগারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কক্সবাজারের সৌন্দর্য প্রচার।
বিনোদন ও কার্যক্রম:
স্কুবা ডাইভিং, সার্ফিং এবং অন্যান্য জলক্রীড়া চালু করা।
কক্সবাজারে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের প্রদর্শনী আয়োজন।
দ্বীপভ্রমণ (সেন্টমার্টিন, মহেশখালী) এবং পাহাড়ি ট্রেকিং।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ:
সমুদ্র ও সৈকতের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা চালু।
পরামর্শ ও আশাবাদ:
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
২০২৫-এর শুভ কামনা:
নতুন বছরে কক্সবাজার পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছি। বিদেশী পর্যটকদের মন জয় করার মাধ্যমে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে নিজের স্থান আরও সুসংহত করবে—এই আশাবাদ রাখি।
শুভ ২০২৫!
মিজানুর রহমান মিল্কী
ট্রিপ কনসালটেন্ট
ট্রাভেল মার্ক অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্কস
কনভেনর
ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার -টুয়াক
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।