
শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে রামু সরকারি কলেজ: নবাগত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু:
রামু সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রামু সরকারি কলেজের আমির হামজা ভবনে অনুষ্ঠিত হয় নবাগত অধ্যক্ষের বরণ অনুষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম।
‘আত্মারও তুমি পরম আত্মীয় জানি, ন্যায়ে হোক সম্মিলন, সত্য হোক স্পন্দন’ এ শ্লোগানে আয়োজিত নবাগত অধ্যক্ষের বরণ অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের বক্তৃতা করেন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক (সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) সুপ্রতিম বড়ুয়া।
নবাগত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা যতই আন্তরিক হোক, শিক্ষার্থীরা আন্তরিক না হলে কলেজকে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়া সম্ভব হবে না। তাই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে শতভাগ উপস্থিত থাকতে হবে। কোনমতেই ক্লাস ফাঁকি দেয়া যাবে না। এজন্য শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত হলে রামু সরকারি কলেজকে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়া সম্ভব হবে। একাডেমিক কর্মকান্ডে সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করে নবাগত অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষকদের সাথে খবরদারি করা হবে না। তবে শিক্ষকদের বিবেকতাড়িত হয়ে কাজ করতে হবে এবং নিয়মিত পাঠদান করতে হবে।
রামু সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছানুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফলতা অর্জন করে। কলেজের স্বার্থে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। এখানে অনেক মত থাকতে পারে। মতভিন্নতা যেন, মতদ্বৈধতা সৃষ্টি না করে। শিক্ষকরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। ১৮ কোটি মানুষের টাকায় শিক্ষকদের বেতন হয়। তাই শিক্ষকদের ১৮ কোটি মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের সন্তানদের কাছেও জবাবদিহি করতে হবে। আমরা যদি মুখে নীতি কথা বলি, আর কাজে যদি প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের কোন মূল্য থাকবে না। আমাদের কেউ অনুসরণও করবে না। একজন শিক্ষকের বড় গুণ হলো তিনি ক্লাসে তিনি নিয়মিত যান কিনা, পাঠদানের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যান কিনা।
নবাগত অধ্যক্ষের বরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ সোলাইমান, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ‘বাপা’ রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, জ্যোতিসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বড়ুয়া, রামু সরকারি কলেজ গভের্নিংবডির সাবেক সদস্য আখতারুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, রামু সরকারি কলেজের দাতা সদস্য নজির আহমদ কোম্পানি, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল মোহাম্মদ মইনুল কাদের, প্রভাষক মো. সরওয়ার ইমরান, প্রভাষক মো. রহমত উল্লাহ, চকরিয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক রূপম কান্তি ধর, রামু উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক খালেদ শহীদ, কলেজের দাতা সদস্যের সন্তান মো. নুরুল আলম, রামু প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমুখ।
রামু সরকারি কলেজের প্রভাষক ইসরাত জাহান দুলালী ও প্রভাষক ইজত উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক কিশোর পাল, প্রভাষক আ ন ম জহির, প্রভাষক আকতার জাহান কাকলী, প্রভাষক দিবস কুমার বৈদ্য, প্রদর্শক মানসী বড়ুয়া, কলেজের শিক্ষার্থী মোর্শেদুল হক, মো. কায়েস, মো. এমদাদ, মো. নোমান এবং রেজাউল করীম সাজিদ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, রামু সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ক্যাডেট কামরুল হাসান, গীতা পাঠ করেন, প্রভাষক দিবস কুমার বৈদ্য এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইভা বড়ুয়া।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।