
সিবিএল ডেস্ক: কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থিত দেশের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল Sea Pearl Beach Resort & Spa বর্তমানে অনেকেই ‘রয়েল টিউলিপ’ নামে চেনে। এমনকি সংবাদমাধ্যমের অনেক প্রতিবেদনেও এখনো পুরনো নামে উল্লেখ করা হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, “রয়েল টিউলিপ” এখন আর এই হোটেলের সঙ্গে যুক্ত নয়।
রয়েল টিউলিপ কী?
রয়েল টিউলিপ একটি আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি হোটেল ব্র্যান্ড, যা Louvre Hotels Group-এর অংশ। এই গ্রুপটি বিশ্বের ৫৫টিরও বেশি দেশে প্রায় ১,৭০০টিরও বেশি হোটেল পরিচালনা করে। রয়েল টিউলিপ ব্র্যান্ডটি তাদের বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, এই ব্র্যান্ডের হোটেলগুলো স্থানীয় মালিকানাধীন হয়ে থাকে, তবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাদের নির্ধারিত নীতিমালার অধীনে।
বাংলাদেশে রয়েল টিউলিপের যাত্রা ও কক্সবাজারের সংযুক্তি:
২০১৫ সালে কক্সবাজারের ইনানীতে সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা উদ্বোধনের সময় এটি “Royal Tulip Sea Pearl Beach Resort & Spa” নামে পরিচালিত হতে থাকে, ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তির আওতায়। এই সময় থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মাঝে রয়েল টিউলিপ নামটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তবে কয়েক বছর পর (প্রায় ২০২০ সাল নাগাদ), Sea Pearl Beach Resort & Spa তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হোটেল পরিচালনা শুরু করে। বর্তমানে এটি আর কোনো আন্তর্জাতিক হোটেল চেইনের সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
কেন এখনো বিভ্রান্তি?
জনসাধারণের অনেকেই হোটেলটির পূর্বের নামেই পরিচিত থাকায় এখনো সেটিকে “রয়েল টিউলিপ” নামে ডাকেন। এমনকি অনেক সংবাদকর্মী ও পর্যটন বিষয়ক ওয়েবসাইটেও এখনো পুরনো নাম ব্যবহৃত হচ্ছে, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। অথচ বর্তমানে হোটেলটির অফিসিয়াল নাম শুধুই Sea Pearl Beach Resort & Spa।
বাংলাদেশে রয়েল টিউলিপ কি এখনো আছে?
বর্তমানে রয়েল টিউলিপ ব্র্যান্ডের অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো হোটেল চালু নেই। ইনানীর এই হোটেলটি একসময় একমাত্র ছিল, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি বাতিলের পর বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের আর কোনো কার্যক্রম নেই।
হোটেল ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর চুক্তি নবায়ন বা বাতিল হতে পারে, যা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে পুরনো ব্র্যান্ডনাম ভুলবশত ব্যবহারের ফলে তথ্য বিভ্রাট এবং ব্র্যান্ড ইমেজের জটিলতা তৈরি হয়।
পরিশেষে:
সময়ের পরিবর্তনে নাম বদল হলেও ব্র্যান্ড সচেতনতা ও সঠিক তথ্য চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদমাধ্যম ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার উচিত হোটেলটির বর্তমান নাম ও অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রচার করা, যাতে পর্যটকরা বিভ্রান্ত না হন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।