
নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু পাবলিক লাইব্রেরী হবে পাঠ, জ্ঞান চর্চা ও মুক্তচিন্তা বিকাশ কেন্দ্র। বই পাঠে জ্ঞানে আলোকিত হোক আমাদের প্রজন্ম। শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ অভ্যাস চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বই পাঠ ও লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। সুন্দর পরিবেশে আলোকিত মানুষের সহযোগিতায় আধুনিকায়ন করা হবে, রামু পাবলিক লাইব্রেরী। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রামু পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।
সভার আলোকিতজনরা বলেন, লাইব্রেরী হলো শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সাথে সর্বদাই ভালো সম্পর্ক রাখা যায়। আলোকিত মানুষের সব জ্ঞান জমা থাকে বইয়ের ভেতরে। বই হলো অন্তহীন জ্ঞানের উৎস। জ্ঞানের উৎস রামু পাবলিক লইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এ জন্যে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পিত পরিকল্পনা।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৮০ সালে রামুর আলোকিত গুণীজনরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই পাবলিক লাইব্রেরী। রামু পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিটি ধুলোকণায় মিশে আছে তাদের শ্রমের সার্থকতা। এটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আগামী প্রজন্ম যেন এই লাইব্রেরীর সুফল পায়, সেই লক্ষে সকলকে সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে।
রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রামু সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইমুনর রশিদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রামু উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইঞ্জি: তরুন বড়ুয়া, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু তাহের, রামু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক খালেদ শহীদ, রামু সরকারি কলেজের শিক্ষক মানসী বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, ইতিহাস গবেষক ও লেখক এড. শিরুপন বড়ুয়া, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমথ বড়ুয়া প্রমুখ। সভায় সম্মিলিত আলোচনায় রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে পুনর্গঠনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।