শিরোনাম
কক্সবাজারে পৌরসভা ও ব্র্যাকের উদ্যোগে বিশ্ব শহর দিবস উদযাপন ১৮৫ দেশ ভিসা ছাড়াই ঘুরে বেড়ানো যায় যে পাঁচ দেশের পাসপোর্টে 🇱🇰 শ্রীলংকা বনাম 🇧🇩 বাংলাদেশ ট্যুরিজম: কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে? ইনানী নয়, পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে নুনিয়া ছড়া থেকে ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন ডেভেলপমেন্ট খসড়া পরিকল্পনার উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত রামুতে ‘জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণে বক্তারা: নির্যাতন-বৈষম্য রোধে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সামাজিক সচেতনতা ক্যারিয়ার কার্নিভাল ২০২৫: কর্মসংস্থানের পথে কক্সবাজারের তরুণদের নতুন যাত্রা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বাস সার্ভিস সুবিধা দিবে রামু স‌মি‌তি সানড্রি ক্রীড়া সংসদের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন সোনাদিয়া দ্বীপ — কক্সবাজারের খুব কাছে, অথচ অন্য এক পৃথিবী

পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো ও জনসেবা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিবিএল নিউজ:  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – “ভ্রমণকারীদের উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন” শীর্ষক এক পরামর্শমূলক কর্মশালা কক্সবাজারের স্বপ্নীল সিন্ধুতে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) এবং কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে আইএলও–আইএসইসি প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন করছে এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজারের ডেস্টিনেশন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (২০২৫–২০২৭) উপস্থাপন করা, অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যটন উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগকে শক্তিশালী করা। দিনব্যাপী কর্মশালায় দলভিত্তিক আলোচনা, মতামত উপস্থাপন এবং উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা হয়।
আইএসইসি প্রকল্পের টিম লিডার মো. ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আইএসইসি প্রকল্পের লক্ষ্য হলো দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীদের ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করে টেকসই পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়া।
আইএলও কনসালট্যান্ট মোহাঃ মোস্তাফিকুর রহমান বলেন, উপজেলা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটি গঠন স্থানীয় পর্যায়ে পর্যটন ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় ও অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়ক হবে।
এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, খুরুশকুল নদী এলাকায় নতুন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পর্যটন পরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে এলজিইডি কাজ করবে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক বলেন, কক্সবাজারে হাসপাতাল ট্যুরিজম চালু করা প্রয়োজন, যাতে ভ্রমণকারীরা চিকিৎসা ও বিনোদন উভয় সুবিধা পেতে পারেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিটি পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ডিপিএইচই-এর প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন বলেন, পর্যটন এলাকায় নিরাপদ পানীয় জল ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা অত্যন্ত জরুরি। তিনি জানান, ডিপিএইচই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় স্যানিটেশন উন্নয়নে কাজ করছে, যা জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।
কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন উন্নয়নে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে, যাতে কক্সবাজারকে একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা যায়।




Developed by e2soft Technology