শিরোনাম
কক্সবাজারে পালিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস ২০২৫ : সমগ্র বিশ্বের সাথে এক ছন্দে* ১৭ শতাধিক অংশগ্রহণকারীর পদচারণায় মুখরিত কোয়ান্টামমের ধ্যান প্রভাত ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)-এর বিশেষ সাধারণ সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন রামুতে নির্মাণ সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘বাড়ি নকশা’ উদ্বোধন রামুতে উৎসবমুখর আনন্দে অনুষ্ঠিত বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস পার্টি বাপা রামু উপজেলার নতুন কমিটি গঠিত: মোহাম্মদ আলম সভাপতি, সায়েদ জুয়েল সাধারণ সম্পাদক, জাবেদুল আনোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত রামুর কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা ও এসএইচডি মডেল হাই স্কুলে: শিক্ষার্থীদের সততা ও ন্যায়চর্চা শেখাতে সততা স্টোর উদ্বোধন আইএলও-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে জলবায়ু-স্মার্ট কার্যক্রম, লিঙ্গ-অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও নারী ও যুবদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সুযোগের উপর গুরুত্বারোপ রাঙামাটির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অনুষ্ঠিত রামু প্রেসক্লাবের আনন্দ ভ্রমণ কক্সবাজার – চট্টগ্রাম মহাসড়কে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত: সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মহাসড়ক ৬ লেনের দাবি টুয়াকের

ন্যায্য চাকরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের অঙ্গীকার

পর্যটন খাতকে টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ১০ই সেপ্টেম্বর, রোজ বুধবার কক্সবাজারের একটি তারকা মানের হোটেলের হলরুমে “পর্যটনে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আইএলও-আইএসইসি প্রকল্পের আওতায় এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মশালায় কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর  এর  সদস্যরা অংশ নেন।

কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে আইএসইসি প্রকল্পের টিম লিডার মো. ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া বলেন, “পর্যটন মানে কেবল ভ্রমণকারীদের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেওয়া নয়, যারা এই অভিজ্ঞতা তৈরি করে তাদের মর্যাদা, ন্যায্যতা এবং সুযোগ নিশ্চিত করাও জরুরি।”

আলোচনায় টোয়াক সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দেন সব কর্মচারীর জন্য লিখিত চুক্তি প্রদান, ন্যায্য কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, নিয়মিত ছুটি, ওভারটাইম সুবিধা ও বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করার। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা চালু এবং নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। নারী ট্যুর গাইড তৈরি ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির ওপরও ঐকমত্য গড়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে আইএলও’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম নাভিদ আকবর বলেন, “টোয়াককে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে এবং ব্যবসায় আরও সচেতন হতে হবে।” তিনি আরও জানান, শেয়ারট্রিপ ও গোযায়ানসহ বিভিন্ন ভ্রমণ প্ল্যাটফর্ম স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শোভন কর্মপরিবেশ, অন্তর্ভুক্তি ও পেশাগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি সঞ্চারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার শুধু দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, বরং টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক পর্যটনের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।




Developed by e2soft Technology