শিরোনাম
ন্যায্য চাকরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের অঙ্গীকার রামু প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাফর সংবর্ধিত “সায়মুন সংসদ”-এর নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত রামুতে যাত্রীবাহি বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু সন্তানসহ প্রাণ হারালেন আইনজীবী: আহত চারজন জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য হুমকি সংকীর্ণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক: ছয় লাইন করার দাবীতে রামুতে মানববন্ধন ও সমাবেশ রয়েল টিউলিপ নয়, এখন সী পার্ল বীচ রিসোর্ট — নাম বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে শতাধিক নারী ও তরুণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ILO-ISEC প্রকল্পের “ক্যারিয়ার টকস সেশন” বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ হোটেল এবং মেহেদি বাই কানিজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই রামু উপজেলার পর শতাধিক নারী ও তরুণের অংশগ্রহণে উখিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ILO-ISEC প্রকল্পের “ক্যারিয়ার টকস সেশন” বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ে কক্সবাজারে সংকট: পর্যটনের অগ্রযাত্রায় বড় প্রতিবন্ধকতা

ন্যায্য চাকরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের অঙ্গীকার

পর্যটন খাতকে টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ১০ই সেপ্টেম্বর, রোজ বুধবার কক্সবাজারের একটি তারকা মানের হোটেলের হলরুমে “পর্যটনে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আইএলও-আইএসইসি প্রকল্পের আওতায় এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় আয়োজিত এ কর্মশালায় কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর  এর  সদস্যরা অংশ নেন।

কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে আইএসইসি প্রকল্পের টিম লিডার মো. ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া বলেন, “পর্যটন মানে কেবল ভ্রমণকারীদের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেওয়া নয়, যারা এই অভিজ্ঞতা তৈরি করে তাদের মর্যাদা, ন্যায্যতা এবং সুযোগ নিশ্চিত করাও জরুরি।”

আলোচনায় টোয়াক সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দেন সব কর্মচারীর জন্য লিখিত চুক্তি প্রদান, ন্যায্য কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, নিয়মিত ছুটি, ওভারটাইম সুবিধা ও বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করার। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা চালু এবং নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। নারী ট্যুর গাইড তৈরি ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির ওপরও ঐকমত্য গড়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে আইএলও’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম নাভিদ আকবর বলেন, “টোয়াককে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে এবং ব্যবসায় আরও সচেতন হতে হবে।” তিনি আরও জানান, শেয়ারট্রিপ ও গোযায়ানসহ বিভিন্ন ভ্রমণ প্ল্যাটফর্ম স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শোভন কর্মপরিবেশ, অন্তর্ভুক্তি ও পেশাগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি সঞ্চারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার শুধু দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, বরং টেকসই ও মানুষকেন্দ্রিক পর্যটনের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।




Ads NewsCraft

সর্বশেষ

Developed by e2soft Technology