
নিজস্ব প্রতিবেদক: নানার বাড়ির দীঘির পাড়ে পারিবারিক কবরস্থানে মা ও নানার পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন, লেখক-গবেষক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আজিজ চৌধুরী। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় (মাগরিবের নামাজের পর) কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ার দীঘির পাড়ে পারিবারিক কবরস্থানে মা কুলসুম বাহার ও নানা নুর মোহাম্মদ চৌধুরীর পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিকালে (আছরের নামাজের পর) কক্সবাজার শহরের বদরমোকাম জামে মসজিদ মাঠে লেখক-গবেষক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আজিজ চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা এবং সন্ধ্যায় (মাগরিবের নামাজের পর) পিএমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার সময়ে রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতিনাতনি ও আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবার, আত্মীয় স্বজন, শিক্ষক ও সাহিত্য অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
লেখক-গবেষক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আজিজ চৌধুরী কক্সবাজার শহরের বদরমোকাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারের প্রসিদ্ধ আইনজীবী মরহুম উকিল এখলাছুর রহমানের একমাত্র সন্তান। মরহুম নুরুল আজিজ চৌধুরীর পৈতৃকবাড়ি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হালি শহর এলাকায়।
কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের (কেজি স্কুল) প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ছিলেন, নুরুল আজিজ চৌধুরী। তিনি ওই স্কুল থেকে ২০১৩ সালে অবসরগ্রহণ করেন। কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান লেখক-গবেষক নুরুল আজিজ চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সাগরপাড়ের কতকথা’। কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী এ গ্রন্থটি প্রকাশ করে। তাঁর মৃত্যুতে কক্সবাজারের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কবি-সাহিত্যিকরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।