শিরোনাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীত করার দাবিতে: রামুতে মানববন্ধন ও সমাবেশ রামু রাবার বাগান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি আবছার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান উখিয়ায় হাসিঘর ফাউন্ডেশন প্রীতি বীচ ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত: ‘আলফা ফুটবল একাদশ’ ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ‘ব্রাভো ফুটবল একাদশ’কে পেশাদারিত্ব ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে রামুর সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল কক্সবাজারে ইউনিয়ন হসপিটালে Global Med Lab Week 2025 অনুষ্ঠিত। রামু সরকারি কলেজে ছাত্র অধিকার সংঘের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা নানার বাড়ির দীঘির পাড়ে কবরস্থানে চির নিন্দ্রায় শায়িত লেখক-গবেষক শিক্ষক নুরুল আজিজ চৌধুরী বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের প্রস্তাবিত জমিতে উচ্ছেদ আতংকিত গ্রামবাসীর মানববন্ধন রামুতে সরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক সালাহ উদ্দিন

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই খুলছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি 

সিবিএল ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বান্দরবানও খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সু প্রদীপ চাকমা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সু প্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা জানি এই পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটক বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং এ খাত কিছুটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।

এজন্য আমাদের ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। এরপর পর্যায়ক্রমে বান্দরবানও খুলে দেওয়া হবে।

যেটা দ্রুতই বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। এটা হচ্ছে পর্যটন মৌসুম, এজন্য আমরা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, আমার অ্যাসেসমেন্ট আছে যে, বর্তমানে পার্বত্য জেলাগুলোর পরিবেশ মোটামুটি শান্ত হয়েছে। আমি মনে করি না আর আগের মতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যেটা গত ১৮, ১৯ আগস্ট যে একটা চুরির ঘটনা থেকে এবং এরপর গত ১ অক্টোবর একটি ধর্ষণের ঘটনার পর পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়। হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে এই সমস্যাগুলো থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারব। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। এটা খুবই জরুরি। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এটা খুব ভালো করে বোঝে এবং চেষ্টা করছে এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। একই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ জানাব আইন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেয়।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্যবাসী অনেক সময় মনে করেন যে, তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলোর কোনো বিচারের সুরাহা এখন পর্যন্ত হয়নি। এজন্য তাদের ভেতরে এমন মনোভাব তৈরি হয়েছে। আমরা পাহাড়িদের আশ্বস্ত করতে চাই, যারা প্রকৃত অপরাধী তারা শাস্তি পাবেই এবং যারা নিরপরাধ তারা যেন কোনো অবস্থাতেই হয়রানির স্বীকার না হয় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা।
তাহলে কী মনে করছেন পাহাড়ে আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হঠাৎ করে একটা ঘটনা ঘটে গেলে সেটা তো বলতে পারব না। এ ধরনের ঘটনা আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটছে। এটুকুই বলব সেখানে পর্যটক যাওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে। আমাদের সার্ভিস সেক্টর পর্যটকদের জন্য বসে আছে।
পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগ সফল হবে বলে মনে করছেন – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যেই আসুক সবারই চেষ্টা থাকে শান্তি বজায় রাখার। যেহেতু এই অঞ্চলটা আমাদের বাংলাদেশের। ফলে সরকার যেই হোক উদ্যোগ তো থাকবেই।




Developed by e2soft Technology