শিরোনাম
সাগরপাড়ে জমিদার ছৈয়দ আহমদ প্রজন্ম মিলনমেলা ও পারিবারিক সম্মিলন রামুতে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উদযাপন দখলমুক্ত হলো রামু চৌমুহনী ও পঞ্জেখানা বাজার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হলো ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ: পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড ইউনিয়ন হসপিটাল বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে সামাজিক দায়বোধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অভ্যন্তরীণ ও সার্কভুক্ত দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ ভ্রমণে ফ্লাইট টিকিটের খরচ বাড়ছে ২০২৫ সালে কক্সবাজার পর্যটনে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের উদ্যোগ ও সম্ভাবনা মফিজুর রহমান এর মৃত্যুতে কক্সবাজার কমিউনিটি এ্যালায়েন্স- ঢাকা ‘গভীর শোক প্রকাশ রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল কক্সবাজার বেসরকারি গণপাঠাগার পরিষদ গঠিত

দখলমুক্ত হলো রামু চৌমুহনী ও পঞ্জেখানা বাজার

প্রশাসন ও সওজের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: দখলমুক্ত হলো রামু চৌমুহনী ও পঞ্জেখানা বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু
রামু উপজেলার বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশন এবং রামু সেনানিবাস ও বিজিবি সদর দপ্তরের অদূরের ব্যবসাকেন্দ্র পাঞ্জেখানা বাজারের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে চৌমুহনী স্টেশনে ও বিকালে রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জেখানা এলাকায় যৌথভাবে এ অভিযান করে রামু উপজেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (সড়ক উপ-বিভাগ-২) মোস্তফা মুন্সী সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রামু থানা পুলিশ ও রামু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, ব্যাটালিয়ান আনসার ও বিদ্যুৎ বিভাগ অংশ নেন।

রামুর ব্যস্ততম চৌমুহনী স্টেশন ও পাঞ্জেখানা বাজার এলাকার সড়কের দু’পাশের অবৈধ দখলে থাকায় নিত্যদিনে চলাচলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। রামু চৌমুহনীতে সবসময়ই যানজট লেগে থাকতো। শুধু রামু চৌমুহনীই নয়, পঞ্জেখানা বাজারেও দীর্ঘদিনের অবৈধ দখলের যেন মহোৎসব চলছিলো। যৌথ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়া জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। রামুর জনগুরুত্বপূর্ণ কলঘর বাজারসহ অন্যান্য ব্যস্ততম স্টেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক নেতৃবৃন্দরা।

অভিযান চলাকালে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল বলেন- দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানে চৌমুহনী স্টেশন, পাঞ্জেখানা বাজারসহ আশপাশের ছোট-বড় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। উচ্ছেদকৃত স্থাপনা আবারও স্থাপনের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার সকালে রামু চৌমুহনী স্টেশনের পশ্চিম পাশে স্বপ্নপুরী রাস্তার মাথা থেকে শুরু হওয়া অভিযান বিকালে পাঞ্জেখানা বাজারে শেষ হয়। দিনব্যাপী অভিযানে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে নির্মাণ করা দোকান-পাট, লোহার সিঁড়ি ও অন্যান অবৈধ স্থাপনা স্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। দুপুরে রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জেখানা বাজারের দক্ষিণ পাশে প্রভাবশালী দিদারুল আলম গং কর্তৃক সওজের জমি দখল করে নির্মানাধিন বিশাল পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান চলাকালে বিপুল জনসমাগম চোখে পড়ে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (সড়ক উপ-বিভাগ-২) মোস্তফা মুন্সী জানিয়েছেন- দীর্ঘদিন অভিযান না করার কারণে রামুর বিভিন্ন স্থানে সওজ এর জমি জবরদখলকারির দোকান-পাটসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এ কারণে জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলো।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন- চৌমুহনী স্টেশনসহ আশপাশের সড়কের দু’পাশে অবৈধ দখলের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ ছিলো। চৌমুহনীতে সবসময়ই জ্যাম লেগে থাকাই যেন নিয়তি। শুধু রামু চৌমুহনী নয়, পাঞ্জেখানা বাজারসহ আনাঁচে কানাচেঁ দীর্ঘদিনের অবৈধ দখলের যেন মহোৎসব চলছিলো। তাই ভুক্তভোগীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সওজ কক্সবাজার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ব্যাটালিয়ান আনসার ও বিদ্যুৎ বিভাগ এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযানে অবৈধ দখল উচ্ছেদে এ অভিযান দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ফল। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতার জন্য চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতি, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।




Developed by e2soft Technology