সিবিএল ডেস্ক: পর্যাপ্ত ঘুমানো দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। ঘুম প্রতিদিন আপনার দেহের শারীরিক নানা শূণ্যস্থান পূরণ করে এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট রাখাসহ নানা কাজে লাগে। এ লেখায় রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের ১০টি উপকারিতা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
১. স্মৃতিশক্তি ভালো করে: গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমালে মানুষের মস্তিষ্ক শীতল থাকে ফলে সব কিছু খুব সহজেই মনে থাকে। মূলত মস্তিষ্কের কোষগুলো ঘুমের সময় স্মৃতিকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়। এতে ঘুম থেকে ওঠার পর স্মৃতিগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়।
২. আবেগগত সমস্যা দূর করে: ঘুমের অভাবে আবেগগত সমস্যা হতে পারে।
আর পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারলে এ আবেগগত সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই আবেগগত সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
৩. যৌনতায় উন্নতি : ঘুমের ফলে দেহের হরমোন মাত্রা স্বাভাবিক হয়, যা যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। আর তাই পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে যৌনতায় উন্নতি করা সম্ভব।
৪. আয়ু বাড়ায়: একজন ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, যারা রাতে ছয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তারা একটু বেশিই আয়ু কমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
৫. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঘুমের ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মূলত ঘুমের কারণে দেহের হরমোন মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। আর এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৬. সৃজনশীলতা বাড়ায়: সৃজনশীলতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমানো দরকার৷ রাতের ঘুমের বাইরে একবার সামান্য একটু ঘুমিয়ে না নিলে কর্মক্ষমতা কমে৷ মন-মেজাজেও তার প্রভাব পড়ে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের ফাঁকের সামান্য ঘুমও হৃৎস্পন্দনের হার শতকরা ৫ ভাগের মতো কমায় এবং কাজে মনোনিবেশের ক্ষমতা বাড়ায় শতকরা ৩০ ভাগের মতো৷ এতে বেড়ে যায় সৃজনশীলতা।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বরং ওজন কমে৷ এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ঘুম বেশি হলে বিপাক প্রক্রিয়া ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, ফলে যেসব খাদ্য উপাদান মেদ বাড়ায় সেগুলো হজম হয়ে যায়৷ সুতরাং মেদ কমাতে শুধু খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম, খেলাধুলাই নয়, পাশাপাশি ঘুমের দিকেও মনযোগ দিতে হবে।
৮. মানসিক চাপ কমায়: এইসময়ে স্ট্রেস মানুষের নিত্য সঙ্গী। সারাদিনের কাজ, জ্যাম, ঝামেলা এ সবকিছু থেকেই তৈরি হয় স্ট্রেস। আর স্ট্রেস দূর করতে ঘুমের চেয়ে কার্যকরি আর কিছুই হতে পারে না।
৯. রাস্তায় নিরাপত্তা: রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রাস্তায় চলাচলের সময় সতর্ক থাকা সম্ভব হয় না। এতে রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বহু ড্রাইভারই রাতে ঠিকমতো না ঘুমিয়ে দিনের বেলা গাড়ি চালানোর সময় বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
১০. ভালো অনুভূতি: মানসিক স্বস্তি দেয় ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মানুষের বিশ্রাম ও স্বস্তি হয়। ফলে বড় কোনো কাজের জন্য মানসিক প্রস্ততি নেওয়া সহজ হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।