🇱🇰 শ্রীলংকা বনাম 🇧🇩 বাংলাদেশ ট্যুরিজম: কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে?

সিবিএল | পর্যটন ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার দুই সমুদ্রতীরবর্তী দেশ শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ — উভয়ই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। তবে পর্যটন ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও ব্র্যান্ডিংয়ে শ্রীলংকা অনেক এগিয়ে আছে।

শ্রীলংকা ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র হলেও পর্যটন এখন তাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। পাহাড়, বন, সমুদ্র ও ঐতিহাসিক স্থাপনার সমন্বয়ে দেশটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। “So Sri Lanka” স্লোগান নিয়ে দেশটি বিশ্ব পর্যটনে নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ বিদেশি পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করে, যা থেকে আসে ২.৫ থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, পাহাড়ি সৌন্দর্যের রাঙামাটি-বান্দরবান, এবং অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন। তবে পর্যটন খাতে অবকাঠামো, ব্র্যান্ডিং ও আন্তর্জাতিক প্রচারণার ঘাটতির কারণে এই বিশাল সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ বিদেশি পর্যটক আসে, আর আয় হয় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি শ্রীলংকা সফর শেষে অভিজ্ঞতা জানালেন ট্রাভেল মার্ক এডভেঞ্চার ওয়ার্ক্স এর সি ই ও এবং ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)-এর আহবায়ক মিজানুর রহমান মিল্কী। তিনি বলেন—

“৪ দিনের সফরে রাস্তায় কোথাও ময়লা দেখিনি, ফুটপাথে কোনো হকার বা টং দোকান ছিল না, আর সড়কে ছিল না ট্রাফিক জ্যাম। তাদের স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা পর্যটনকে নিজের মনে করে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেয়। সবার মুখে হাসি, আর তারা তাদের পরিবেশ ও ঐতিহ্যকে যত্নসহকারে লালন করছে— যার ফলে তাদের দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটকে ভরপুর।”

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলংকার সাফল্যের মূল রহস্য হলো সুসংগঠিত পরিকল্পনা, পরিবেশবান্ধব নীতি, এবং জনগণের পর্যটনবান্ধব মানসিকতা। বাংলাদেশের পর্যটনেও এ ধরণের জনসচেতনতা, প্রশিক্ষণ, ও পেশাদারিত্ব বাড়াতে পারলে আগামী এক দশকের মধ্যেই দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। টুয়াক আহবায়ক মিল্কী আরো বলেন;

🌴 “আমাদের পাহাড়, নদী, বন ও সমুদ্র — সবই আছে। এখন দরকার মানসম্মত সেবা, শৃঙ্খলা ও বিশ্বমানের প্রচারণা।”