শিরোনাম
যেভাবে গ্রেফতার হলেন সাংবাদিক মুন্নি সাহা রামুতে সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের খেলোয়াড়দের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুস্টিত অ্যাপের এজেন্ট জাহাজ মালিক: টিকেট কাটলেই মিলবে ট্রাভেল পাস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ সেন্টমার্টিনে কোন জাহাজ ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দ্বীপবাসীর ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ যাত্রাবাড়ীতে হাসনাত কে আবার গাড়ী চাপা দিয়ে হত্যা চেস্টা সেন্টমার্টিন নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন পর্যটন উপদেস্টা রামু-উখিয়ার প্রাচীন জনগোষ্ঠি আবদুল আলী সিকদার বংশের ইছালে ছওয়াব মাহফিল ২৫ ডিসেম্বর রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবে সংবর্ধিত

প্রশাসনে সাড়ে ১০ লাখ আওয়ামী লীগ

সিবিএল ডেস্ক:  প্রশাসনে সাড়ে ১০ লাখ ‘আ. লীগ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যাটা বিশাল। প্রায় সাত লাখ। যার পুরোটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া। তাদের সঙ্গে ওই সময়ে পদোন্নতি পাওয়া আরও সাড়ে তিন লাখের বেশি যোগ হবে।

সবমিলিয়ে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ জনে, যা প্রশাসনে হিমালয়ের মতো বিশাল এক খাম্বা। শূন্য পদ বাদে বর্তমানে কর্মরত মোট ১২ লাখ ৩১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাদের খুঁজে বের করতে গেলে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার জোগাড় হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৯ জনকে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিয়োগের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৫৭ জনকে।

অন্যদিকে ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে পদোন্নতি পান ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পদোন্নতির হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে পদোন্নতি পান আরও ২৩ হাজার ৬৮৮ জন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের তথ্য তালাশ হচ্ছে। নাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ করার অভিযোগে প্রশিক্ষণের প্রায় শেষপ্রান্ত ছুঁয়েও পুলিশে ‘আপাতত’ নিয়োগবঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশ প্রশিক্ষণার্থী এসআই। অর্ধডজন বিসিএস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসবের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্যে প্রশাসন গুলজারময় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় বিবেচনায় চাকরি পাওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতে গত ১৫ বছরে প্রায় সবই দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক ঢুকে পড়েছে যারা কোনোমতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তারা নানা কায়দা-কানুন করে চাকরিতে ঢুকেছে। কিছু লোক টাকার বিনিময়ে ঢুকেছে। প্রশাসনের জানামতে ভিন্নমতের লোকদের চাকরিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের বাইরে যেন কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য দফায় দফায় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। বিশেষ করে ক্যাডার সার্ভিস ও কিছু নন-ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়ার আগে দুটি সংস্থাকে দিয়ে প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরপরও সন্দেহ হলে জেলা প্রশাসন পুনরায় তদন্ত করেছে। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বলতে হয়েছে তারা আওয়ামী লীগ সমর্থক। আর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় যত ভালো করুক না কেন জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য চাকরিতে ঢোকা ছিল লোককাহিনি বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের বাসরঘরে প্রবেশের মতোই কঠিন




Developed by e2soft Technology